ব্রণ এমন একটি সমস্যা যা ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয় এবং মানসিক অস্বস্তি সৃষ্টি করে। যাদের তৈলাক্ত ত্বক তারাই ব্রণের সমস্যায় বেশি ভোগেন। তবে ত্বক তৈলাক্ত না এমন লোকজন যে ব্রণের সমস্যা দেখা যায় না, তা নয়। মুখে ব্রণের সমস্যা নিয়ে জেরবার এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। ব্রণ দূর করার জন্য মানুষের কসরতের শেষ নেই। নানা রকম দামি কসমেটিক থেকে শুরু করে ঘরোয়া টোটকা, কোনটাই বাদ যায় না। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
তবে আপনি যদি কিছু সহজ এবং প্রাকৃতিক উপায় অনুসরণ করেন, তাহলে ব্রণ থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে পারেন এবং ত্বককে দাগহীন ও উজ্জ্বল রাখতে পারেন। এই লেখায়, কার্যকরী ও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে ৭টি ব্রণ দূর করার উপায় আলোচনা করা হয়েছে, যা আপনার ত্বকের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। লেবু, মধু, বরফসহ অন্যান্য সহজ উপাদানের মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই ব্রণ দূর করতে পারবেন এবং ত্বকের যত্ন নিতে পারবেন।
সবার আগে ব্রণ কেন হয় সেটা জানার দরকার আছে। সেবাসিয়াস গ্রন্থি থেকে বেশি সেবাম উৎপন্ন হলে এটি ত্বকের লোমকূপ বন্ধ করে দেয় এবং ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে শুরু করে, যার ফলে ব্রণ দেখা দেয়। এছাড়াও, হরমোনাল পরিবর্তন, খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ, এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবও ব্রণের কারণ হতে পারে।
Table of Contents
মুখে ব্রণ হলে কি মাখা উচিত
ব্রণ যখন হয় তখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হল আমরা মুখে কী কী মাখছি। এইসময় যেকোনো প্রসাধনী ব্যবহার করা যাবেনা।সেই প্রসাধনীগুলোই ব্যবহার করতে হবে যেগুলো আমাদের ত্বকের সঙ্গে মানানসই হবে। অর্থাৎ ব্রণ বিশেষত অয়েল যুক্ত ত্বকে হয়, তাই সেই বুঝেই উপযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করতে হবে। যদি মানানসই প্রসাধনী ব্যবহার না করা হয় তবে ব্রণ কমার বদলে উল্টে বেড়ে যেতে পারে।
টি ট্রি অয়েল: এটি একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক, যা ব্রণের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে । ত্বকের যেখানে যেখানে ব্রণ হয়েছে সেখানে কিছু টি ট্রি অয়েল ফোঁটা লাগালে উপকার মিলবে।
অ্যালোভেরা জেল: অ্যালোভেরা ত্বককে শান্ত করে এবং প্রদাহ কমিয়ে দেয়। ব্রণের উপর এটি মাখলে ত্বক হালকা অনুভব করে।
টুথপেস্ট: অনেকেই মনে করেন টুটপেস্ট ব্রণের জায়গায় লাগালে ব্রণ তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। এটি ব্রণের জন্য কার্যকর হলেও ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে তাই এটিকে বুঝে শুনে ব্যবহার করতে হবে।
সানস্ক্রিন: যাদের ঘরের বাইরে কাজ করতে হয় তাদের দিনের বেলা বাইরে বেরোনোর সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। এতে ত্বক যেমন সূর্যের হাত থেকে বাঁচবে তেমনি ব্রণগুলো বাড়তে পারবে না। তবে খেয়াল রাখতে হবে সানস্ক্রিন যেন এসপিএফ ৩০ উপরে না হয়।
বরফ: ব্রণও যদি বেশ বড় বড় গোটা গোটা, লালচে ভাব বা যন্ত্রণাদায়ক হয়ে থাকে তাহলে ব্রণের উপর বরফ ঘষলেও বেশ উপশম পাওয়া যায়। তবে ব্রণ যদি বড় হয়ে পেকে গিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক, রেটিনয়েডজাতীয় ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।
নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ: কপালে ছোট ছোট ব্রণ দূর করার উপায় হিসেবে নিম পাতা ভীষণ উপকারী। ব্রণ হলে বেশ কিছু ঘরোয়া প্যাক ইউজ করা যেতে পারে। যেমন নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ একত্রে বেটে ব্রণের উপর লাগানো যেতে পারে।
মুলতানি মাটি: ব্রণ সারাতে মুলতানি মাটি এবং জল একত্রে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও মুলতানি মাটি জল এবং চন্দন দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক ও ব্রণের জন্য বেশ কার্যকরী।
চন্দন ও লেবুর রস: এছাড়া ব্রণের সমস্যা থেকে নিস্তার পেতে গুঁড়ো চন্দন লেবুর রসের সাথে মিশিয়েও ব্যবহার করা যেতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে চুন লাগালেও ব্রণ ও কমতে দেখা যায়।
ব্রণ দূর করার উপায় আরো কি কি আছে জেনে নেওয়া যাক:
মুখে ব্রণ কমানোর উপায় হিসেবে সর্বপ্রথমে মাথায় রাখতে হবে যে, যতটা সম্ভব ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে। তাই রাতে শোয়ার আগে সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং স্নানের সময় খুব ভালোভাবে মুখ ধোয়া উচিত।
খুব ভালোভাবে ত্বক পরিষ্কার করলে ত্বকের স্পোরগুলো ওপেন হয়ে যায়। তাই মুখ ধোয়ার পর বারবার মুখে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিতে হবে। এটি ন্যাচারাল টোনারের কাজ করে।
মুখ ধোয়ার পর অবশ্যই কোনো ভালো মানের মশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। প্রাকৃতিকভাবে মশ্চারাইজার হিসেবে নারকেলের তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও মধু ও গ্লিসারিন মিশিয়েও ত্বকের উপর লাগালে তা মশ্চারাইজারের কাজ করে।
ব্রণের সমস্যা বেশ বড় আকার ধারণ করলে কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল যেমন চায়ের লিকার, কফির গুঁড়ো, আপেল সিডার ভিনেগার, মালবেরি এক্সট্রাক্ট, এবং ভিটামিন সি এর মতো উপাদান সমৃদ্ধ পণ্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
নারকেল তেল একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাক্টিরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন কে থাকে। তাই ব্রণের কালো দাগ দূর করতে নারকেল তেল দারুণ ভাবে কাজ করে।
এক চামচ শুকনো তুলসি পাতার গুঁড়োর, এক চামচ ওটসের গুঁড়োর সাথে এক চামচ কাঁচা দুধ মিশিয়ে ব্রণের উপর লাগালে ভালো উপকার দেয়।
মুখে ব্রনের দাগ হয়ে গেলে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে গেলে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে।
মুখে ব্রণ কমানোর উপায়
মুখের ব্রণ আমাদের মুখকে বেশি ফিকে করে দেয়। যেগুলো কমে যাওয়ার পর দাগ রয়ে যায় যা পরবর্তীতে আরো গাঢ় হয়ে যায়। তবে চিন্তা নেই এগুলোকে কমানোর উপায় আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি যেগুলো ঠিকমতো প্রয়োগ করলে আপনার ব্রণ তাড়াতাড়ি কমে যাবে আর ত্বকে দাগও হবেনা।
- নিয়মিত এক্সফোলিয়েশন: ব্রণ কমানোর জন্য সপ্তাহে ১-২ বার ত্বক এক্সফোলিয়েট করতে হবে। এটি মৃত ত্বকগুলো পরিষ্কার করতে সহায়তা করে।
- সঠিক ময়েশ্চারাইজার: ব্রণ কমাতে অয়েল ফ্রি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করবে কিন্তু তেলতেলে করবে না।
কপালে ছোট ছোট ব্রণ দূর করার উপায়
কপালে বা মুখে ছোট ছোট দানা দূর করার উপায় জানতে হলে আগে খাদ্যাভ্যাসের উপর নজর দেওয়া বিশেষভাবে জরুরি। যারা দীর্ঘকালীন সময় ধরে ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন তাদের খাওয়া-দাওয়ার উপর নজর দিতে হবে। ফাস্টফুড খাওয়া বা অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়াও এমন খাবার খেতে হবে যা পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের মতো পেট পরিষ্কার না হলে বা গ্যাসের সমস্যা থাকলে মুখে ব্রণও দেখা যেতে পারে।
- রোজকার খাবারে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান আছে এমন খাবার বেশি রাখতে হবে। যেমন দই, আখরোট, কুমড়ো, বেরিজাতীয় ফল, কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খেতে হবে।
শুধু পেট পরিষ্কার নয় লিভার ভালো থাকবে এমন ধরনের খাবার খাওয়াও বেশ জরুরী কারণ লিভার খারাপ হলেও বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় যে মানুষ ব্রণের সমস্যায় ভুগে থাকেন। এর পাশাপাশি রাত জাগা বন্ধ করতে হবে। রাতে ঘুম না হওয়া বা বেশি রাত করে ঘুমোতে যাওয়ার কারণেও ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়।
- তুলসী পাতার পেস্ট বানিয়ে তার সাথে বেসন ও মধু মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে নিতে পারেন। এই ফেসপ্যাকটি সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করতে পারেন।
- তুলসী পাতা, নিম পাতা, কাঁচা হলুদ একত্রে বেটে এক চামচ লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে তা মুখে ব্যবহার করা যেতে পারে।
- এক চামচ পাতিলেবুর রস, এক চামচ গরম জলের সাথে মিশিয়ে তুলো দিয়ে আলতো করে ত্বকের উপর ব্যবহার করা যেতে পারে।
- অতিরিক্ত দূষণযুক্ত এলাকায় কাজ করতে হলে অনেক ক্ষেত্রে ব্রণের সমস্যা এসে যায়। তাই এর হাত থেকে বাঁচতে খানিক সময় অন্তর মুখ পরিষ্কার করে আসতে হবে।
খুব বেশিক্ষণ ধরে কম্পিউটার, মোবাইলের ব্লু স্ক্রিনের সামনে থাকলেও ব্রণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এই বিষয়গুলোতেও বিশেষভাবে নজর দেওয়া প্রয়োজন।
লেবু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়:
লেবু দিয়ে ত্বকের ব্রণ দূর করা খুব সহজ। তার কারণ লেবুতে প্রাকৃতিক অ্যাসিডিক উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের অয়েল কমাতে সাহায্য করে এবং ব্রণ জন্য উপকারী।
- একটি তুলোর মধ্যে লেবুর রস নিয়ে সরাসরি ব্রণের ওপর লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
- এটি দিনে একবার ব্যবহার করতে পারেন। তবে সেনসিটিভ ত্বকের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার না করাই ভালো।
মধু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়:
মধুতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা ব্রণ দূর করতে সহায়ক।
- মুখে একটি পাতলা স্তরে মধু লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
- এটি প্রতিদিন ব্যবহার করলে ত্বক নরম ও মসৃণ হবে এবং ব্রণ কমে যাবে।
বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়:
বরফ দিয়ে ত্বকের ব্রণ দূর করা সহজ কারণ বরফ ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
- একটি পরিষ্কার কাপড়ের মধ্যে বরফ নিয়ে ব্রণের ওপর ১০-১৫ সেকেন্ড ধরে রাখুন।
- দিনে ২-৩ বার এই পদ্ধতিটি অনুসরণ করুন।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ব্রণ দূর করার উপায়:
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ব্রণ কমাতে নিয়মিত ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হবে যা অতিরিক্ত তেল দূর করতে পারে।
- টি ট্রি অয়েল, অ্যালোভেরা জেল, এবং নিয়মিত মুলতানি মাটির মাস্ক (ক্লে মাস্ক) ব্যবহার করুন।
- তৈলাক্ত ত্বকের জন্য, দিনে দুবার ত্বক পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত জরুরি।
সেনসিটিভ ত্বকের জন্য ব্রণ দূর করার উপায়:
সেনসিটিভ ত্বকের জন্য প্রোডাক্ট ব্যবহার করার সময় খুব সাবধান থাকতে হবে। রাসায়নিক বা কঠোর উপাদান ব্যবহার না করাই ভালো।
- অ্যালোভেরা জেল বা শসার রস ব্যবহার করা যেতে পারে, যা প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং ত্বক ঠান্ডা করে।
- হালকা ফেসওয়াশ ব্যবহার করা ভালো, যাতে কোনো ক্ষতিকর রাসায়নিক নেই।
একদিনে ব্রণ দূর করার উপায়:
যদিও একদিনে ব্রণ পুরোপুরি দূর করা সম্ভব নয়, তবে প্রদাহ এবং ফোলাভাব কমানোর জন্য বরফ এবং টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
- টি ট্রি অয়েল অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি হওয়ার কারণে এটি দ্রুত কাজ করে।
- দিনে ২-৩ বার ব্যবহার করুন।
সাত দিনের মধ্যে ব্রণ দূর করার পদ্ধতি:
ব্রণ দূর করার জন্য ধৈর্য এবং সঠিক যত্নের প্রয়োজন হয়। যদি আপনি এক সপ্তাহের মধ্যে ত্বককে পরিষ্কার এবং ব্রণমুক্ত করতে চান, তবে কিছু নিয়মিত যত্ন এবং প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতে হবে। ত্বক পরিষ্কার রাখা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার মাধ্যমে সাত দিনের মধ্যেই ব্রণ কমানো সম্ভব। এখানে কিছু কার্যকর পদ্ধতি দেওয়া হলো, যা আপনাকে দ্রুত ফলাফল পেতে সাহায্য করবে।
- প্রতিদিন নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করুন। তৈলাক্ত ত্বক হলে অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণের জন্য ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন।
- টি ট্রি অয়েল, অ্যাপেল সিডার ভিনেগার, এবং নিয়মিত ফেস মাস্ক ব্যবহার করুন।
- পর্যাপ্ত জল পান করুন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
স্ট্রেস কমানোর চেষ্টা করুন এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন।
সর্বোপরি ব্রণের সমস্যা খুব বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করলে অবশ্যই একজন ডাক্তার বা স্কিন স্পেশালিস্ট বা কোন বিউটিশিয়ানের সঙ্গে কনসাল্ট করা প্রয়োজন।
মুখে ছোট ছোট দানা দূর করার উপায়
শুধু ব্রণই নয় মাঝে মাঝে মুখে অনেক ছোট ছোট দানাও দেখা যায় যেগুলো আমাদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই সেগুলো কীভাবে দূর করবেন জেনে নিন বিস্তারিত এখানে।
- বেকিং সোডা: বেকিং সোডার সাথে জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগালে ব্রণ তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।
- ভিটামিন E তেল: ত্বককে হাইড্রেট করে এবং দাগ দূর করতে ভিটামিন E খুবই উপকারী। তাই এটি ব্যবহার করতে পারেন ব্রণ কমাতে।
মুখে ব্রণ থাকলে যা করা যাবে না
এমন কিছু কাজ যেগুলো মুখে ব্রণ থাকলে করা যাবে না, সেগুলি নিয়ে আলোচনা করা হলো :
- মুখে ব্রণ থাকলে ফেসিয়াল করার বা মুখে স্ক্রাবিং করা বন্ধ রাখতে হবে। অনেকের আবার মুখের ব্রণ আঙ্গুল দিয়ে খোটার স্বভাব রয়েছে।
- অন্য কারো ব্রণ রয়েছে এমন মানুষের মুখ স্পর্শ এড়িয়ে চলুন। এমনটা করলে ব্যাকটেরিয়া এবং অমেধ্য স্থানান্তরিত হতে পারে।
- অন্য কারো বালিশের তোয়ালে, গামছা বা রুমাল ব্যবহার করবেন না।
- চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে সস্তার কোন পণ্য এনে মুখে ব্যবহার করবেন না। এক্ষেত্রে অবশ্যই কোন একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন।
- হস্ত মৈথুন থেকে দূরে থাকতে হবে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা অত্যাধিক হস্তমৈথুন করে থাকে তাদের ব্রণের সমস্যা বেশি দেখা যায়। হস্ত মৈথুন কতদিন পরপর করা উচিত তার সম্পর্কেও সঠিক জ্ঞান থাকা দরকার।
আশা করছি মুখে ব্রণ হলে কি মাখা উচিত বা ব্রণ দূর করার উপায় এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর আজকের এই ব্লগ থেকে আপনারা পেয়ে যাবেন। আমাদের এই ব্লগে যে সমস্ত টিপস শেয়ার করা হয়েছে তা বেশিরভাগই ঘরোয়া পদ্ধতিতে করা যায় এমন উপায়। যার ফলে আপনাদের খুব বেশি টাকা-পয়সা খরচ হবে না। তাছাড়া এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলি ধৈর্য ধরে ব্যবহার করলে আশানুর ফল নিশ্চিতরূপে পাওয়া সম্ভব।