যদি জানতে চান, প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত! তাহলে বলবো প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত তা জানার আগে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা বিশদে জানতে হবে। কিসমিস হল আসলে শুখনো আঙ্গুর যা ক্যালরি বা শক্তির উৎস হিসাবে ব্যবহৃত হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কিসমিসের উৎপাদন হয়। কিসমিস বিভিন্ন রান্নায় উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করা হয় এবং সরাসরিও খাওয়া যেতে পারে। তবে প্রতিটি খাবারের কিছু ভালো ও খারাপ গুনাগুন রয়েছে। তাই প্রত্যেক খাবারই একটা নিদ্দিষ্ট পরিমানে খাওয়া উচিত। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত?
Table of Contents
প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত
শরীরে ক্যালোরির পরিমান যত বেশি হবে শক্তি বৃদ্ধির সাথে সাথে ওজন বাড়বে তাতো তাড়াতাড়ি। যেহেতু কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমান ক্যালোরি ও শর্করা তাই অতিরিক্ত কিসমিস খাওয়াও শরীরের পক্ষে ভালো নয় বলে মনে করা হয়। প্রতি ১০০ গ্রাম কিশমিশে ক্যালোরির পরিমান রয়েছে প্রায় ৩০০। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের দৈনিক ক্যালোরির প্রয়োজন ২০০০ থেকে ৩০০০ এবং একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলার দৈনিক ক্যালোরি প্রয়োজন ১৬০০ থেকে ২৪০০। তাই প্রতিদিন অন্তত ২০ থেকে ৩০ গ্রাম মানে দিনে ৭-৮ টি কিসমিস খাওয়া যেতে পারে।। এই পরিমান কিসমিস থেকে ৮০ থেকে ৯০ ক্যালোরি উৎপন্ন হয়। যা একজন মানুষকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করবে এবং ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে। থেকে বেশি পরিমান কিসমিস খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে।
প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কিসমিস খেলে কি হয়?
যেহেতু কিসমিসে অতিরিক্ত পরিমানে ক্যালোরি ও শর্করা থাকে, তাই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কিসমিস খাওয়া শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে।দেখে নিন, প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কিসমিস খেলে কি হয়:
ডায়াবেটিস: কিসমিসে প্রাকৃতিক সুগার থাকায়, রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কিসমিস খেলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যাদের আগে থেকেই ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের কিসমিস খাওয়া একদম উচিত নয়।
ওজন বৃদ্ধি: কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট ও ক্যালোরি থাকায়, তাই খুব বেশি কিসমিস খেলে ওজন বাড়তে পারে। যাদের আগে থেকেই স্বাভাবিকের থেকে ওজন বেশি তাদের খুব বেশি কিসমিস খাওয়া উচিত নয়।
অ্যালার্জি: কিসমিসে রয়েছে ১০-২০ শতাংশ ফাইবার, তাই বেশি পরিমানে কিসমিস খেলে অ্যালার্জি ও তার সাথে সাথে শ্বাসকষ্টও হতে পারে। এই ধরণের সমস্যা যাদের রয়েছে তারা কিসমিস খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
কোষ্ঠকাঠিন্য: প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কিসমিস খেলে গ্যাস ও কোষ্টকাঠিন্যের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
- কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম, যা হার্টকে সুস্থ্য রাখেতে সাহায্য করে এবং খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে।
- আর রয়েছে প্রচুর আয়রন যা রক্তাল্পতা জনিত রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে।
- এছাড়াও কিসমিসে রয়েছে কার্বোহাইট্রেট, যা শরীরে এনার্জির জোগান দেয়।
- কিশমিশের জল পান করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
Frequently Asked Questions
হ্যাঁ, কিসমিস খেলে ফর্সা হয়। কিসমিসে রয়েছে ভিটামিন-ই, ভিটামিন-সি, আয়রন, পটাশিয়াম এছাড়াও আরও অনেক পুষ্টি সমৃদ্ধ উপাদান যা ত্বককে উজ্জ্বল ও সুস্থ্য রাখতে সহায়তা করে। কিশমিশ ভেজানো জল ত্বককে উজ্জ্বল করতে কার্যকরী। তাই প্রতিদিন সকালে উঠে কিসমিস ভেজানো জল খেলে ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা হয়, ফলে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।
- হার্ট সুস্থ্য থাকে।
- রক্তাল্পতা কমাতে সাহায্য করে
- খারাপ কোলেস্টেরল দূর হয়।
- এনার্জি বাড়ায়।
কিসমিসে রয়েছে প্রাকৃতিক সুগার বা শর্করা। তাই অতিরিক্ত কিসমিস খেলে বাড়তে পারে ওজন।
শুখনো কিশমিশ রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া শুখনো কিসমিস খেলে ডায়াবেটিস,ক্যান্সার এবং আলজাইমারের মত রোগ নিরাময় হয়।