A haunted post office at night, old and abandoned with cobwebs and dust. A man with a flashlight and camera stands inside, looking at an eerie floatin

ভূতের ডাকঘর

সুদীপ ছিল এক অদ্ভুত কৌতূহলী মানুষ। তার নেশা ছিল পরিত্যক্ত জায়গায় ঘুরে বেড়ানো। সে শুনেছিল গ্রামের এক প্রাচীন ডাকঘর নাকি ভুতুড়ে! সন্ধ্যার পর কেউ ওখানে গেলে নাকি অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটে।

এক রাতে সে ঠিক করল, সত্যি ঘটনা জানতে ডাকঘরে রাত কাটাবে। হাতে টর্চ আর ক্যামেরা নিয়ে সে ঢুকল সেই পুরনো, জীর্ণ ভবনে। মেঝেতে ছড়িয়ে থাকা হলদেটে চিঠির গাদার ওপর ধুলো জমেছে। বাতাসে একটা ছেঁড়া কাগজ উড়ে এসে তার পায়ের কাছে পড়ল।

চিঠির লেখাগুলো কেমন যেন অস্বাভাবিক:

“যে এই চিঠি পড়বে, সে আর ফিরে যাবে না…”

সুদীপ হেসে বলল, “ভূতেরা আবার চিঠি লেখে নাকি!”

ঠিক তখনই বাইরে থেকে কড়া নাড়ার শব্দ এলো—ঠক! ঠক! ঠক!

এত রাতে এখানে কে? সে দরজা খুলল না, বরং জানলা দিয়ে দেখল—কেউ নেই!

তারপর শুরু হলো অদ্ভুত ঘটনা। বাতাসহীন ঘরেও পর্দা দুলতে লাগল, দেওয়ালে ঝোলানো একটা পুরনো ক্যালেন্ডার নিজে থেকেই উল্টে গেল, আর ছাদের কোথাও যেন ফিসফিস শব্দ শোনা গেল—

“আমার চিঠি কি পেলি?”

সুদীপের গলা শুকিয়ে গেল। হঠাৎ করে ক্যামেরার ফ্ল্যাশ আপনাআপনি চালু হয়ে গেল আর এক সেকেন্ডের জন্য সামনে ফুটে উঠল একটা ছায়ামূর্তি—কঙ্কালসার হাত বাড়িয়ে তার দিকে এগিয়ে আসছে!

সুদীপ চিৎকার করে দরজা খুলে দৌড় দিল। কিন্তু যতই দৌড়ায়, মনে হচ্ছে জায়গাটা যেন বদলে যাচ্ছে—এই বুঝি বেরিয়ে গেল, কিন্তু আবারও সেই একই ঘরে ফিরে যাচ্ছে!

তখনই বাতাসে একটা চাপা হাসির শব্দ ভেসে এলো—

“তুই তো চিঠি পড়েছিস… এখন কি পালাতে পারবি?”

সুদীপ চিৎকার করতে করতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলল। পরদিন সকালে গ্রামের লোকেরা এসে দেখে, সে ডাকঘরের মেঝেতে পড়ে আছে, কিন্তু তার মুখে এক ফোঁটা রক্ত নেই, আর হাতে সেই পুরনো চিঠিটা ধরা!

কেউ জানে না, সেদিন রাতে আসলে কী হয়েছিল… কিন্তু এরপর থেকে, ডাকঘরের দিকে আর কেউ পা বাড়ায় না।


(তুমি কি সাহস করে সেই ডাকঘরে যেতে চাও?) 😨👻🔥

কেমন লাগল গল্পটা? 😉

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *