রূপক, তৃষা আর অনিরুদ্ধ—তিনজনের বন্ধুত্ব স্কুল জীবন থেকে। রূপক আর অনিরুদ্ধ দুই বন্ধু, আর তৃষা ছিল তাদের বন্ধুত্বের মাঝখানের বাঁধন।
রূপকের চোখে তৃষা ছিল যেন একটা ক্যানভাস, যেখানে সে নিজের ভালোবাসার সব রং ঢেলে দিতে চাইত। কিন্তু কখনও প্রকাশ করেনি। সে জানত, তৃষা হয়তো তাকে শুধু বন্ধু হিসেবেই দেখে।
অনিরুদ্ধ, বরাবরই উদাসীন। বন্ধুরা বলত, তার অনুভূতি বোঝা কঠিন। অথচ একদিন হঠাৎ করেই সে তৃষাকে বলল, “তৃষা, আমি তোকে ভালোবাসি।”
তৃষার মনে তখনো দ্বিধা। সে কি সত্যি ভালোবাসে অনিরুদ্ধকে? নাকি তার হৃদয়ের গোপন কোণে রূপকের জন্য জায়গা আছে?
সময় গড়াতে লাগল। অনিরুদ্ধ আর তৃষা প্রেমে পড়ল, কিন্তু তৃষার মনের কোথাও একটা অস্বস্তি ছিল। সে টের পাচ্ছিল, কোনো একটা গুরুত্বপূর্ণ কিছু সে হারিয়ে ফেলছে।
একদিন এক বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায় তৃষা রূপকের কাছে এল। বলল, “তুই তো কখনো কিছু বলিস না রূপক, সত্যিই কিছু বলার নেই?”
রূপক শুধু হাসল। বলল, “সব অনুভূতি বলা যায় না, তৃষা। কিছু ভালোবাসা দূর থেকেই ভালোবাসা হয়ে থাকে।”
তৃষার মনে বিদ্যুৎ চমকালো। সে বুঝতে পারল, সে আসলে কাকে খুঁজছিল! কিন্তু তখনই ফোন বেজে উঠল—অনিরুদ্ধের কল।
তৃষা কি রূপকের দিকে এগিয়ে যাবে? নাকি অনিরুদ্ধের হাত ধরে থাকবে? ভালোবাসা কি সবসময় সরল পথে হাঁটে?
শেষটা তোমার ভাবনায় ছেড়ে দিলাম। ❤️