অফিসের ছোট্ট ক্যান্টিনটা ছিল ওদের আড্ডার জায়গা। দীপ, তৃষা, আর আদিত্য – তিনজনের বন্ধুত্ব ছিল অটুট। তবে দীপ জানত না, তার মনের গোপন কোণায় যে ভালোবাসার আলো জ্বলে, সেটাই তৃষার চোখে অন্যরকম রঙ পায়।
তৃষা ভালোবাসত দীপকে, কিন্তু মুখ ফুটে কখনো কিছু বলেনি। অথচ আদিত্য? সে যেন সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। দীপের সঙ্গে তৃষার খুনসুটি, হাসি-ঠাট্টা সবকিছুতেই আদিত্যর চোখ ছিল সতর্ক।
একদিন দীপ তৃষাকে বলল, “তোর কি মনে হয়, ভালোবাসা মানেই দুজন মানুষ? কখনো কি এমন হয় না, যেখানে তিনজনের গল্প লেখা থাকে?”
তৃষা চমকে উঠল। আদিত্য ওদের আড়াল থেকে দেখছিল, বুঝতে পারছিল কিছু একটা বদলাচ্ছে।
এক সন্ধ্যায়, অফিস থেকে ফেরার পথে দীপ তৃষাকে জানাল—সে অন্য একজনকে ভালোবাসে। হৃদয়টা কেমন যেন টুকরো টুকরো হয়ে গেল তৃষার, কিন্তু সে হাসিমুখে বলল, “ভালোবাসা তো চাইলে পাওয়া যায় না, তাই না?”
আদিত্য চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিল দূরে। সে জানত, এবার তার পালা।
তৃষা কি আদিত্যর ভালোবাসা গ্রহণ করবে? নাকি এই ত্রিভুজের এক কোণ চিরকাল ফাঁকা রয়ে যাবে?