রূপসা ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে কফির কাপে চুমুক দিচ্ছিল। সন্ধ্যার বাতাসে এক অদ্ভুত শূন্যতা।
ওর স্বামী সৌরভ তিন মাস হলো বিদেশে গেছে চাকরির জন্য। প্রথমদিকে ফোন, ভিডিও কল, নিয়মিত মেসেজ—সবকিছু ঠিক ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে ওসব কমতে শুরু করল।
এখন হয়তো সপ্তাহে একবার কথা হয়, তাও খুব সংক্ষিপ্ত।
আজ অনেকদিন পর রূপসা ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে ভাবছিল, “সব সম্পর্ক কি সময়ের সঙ্গে ফিকে হয়ে যায়?”
ঠিক তখনই পাশের ফ্ল্যাটের একজন ডাকল, “রূপসা, অনেকদিন পর দেখছি, ভালো আছো?”
রূপসা চমকে তাকাল। দীপ। ওরা একই অ্যাপার্টমেন্টে থাকে, পরিচিত হলেও কখনো খুব বেশি কথা হয়নি।
রূপসা হেসে বলল, “হ্যাঁ, ভালো আছি। তুমি?”
দীপ মুচকি হাসল, “ভালো থাকার চেষ্টা করছি। তবে কেউ যদি একা হয়, তাহলে ভালো থাকা কঠিন হয়ে যায়, তাই না?”
রূপসা একটু চুপ করে রইল। কথাটা কেন যেন ওর মন ছুঁয়ে গেল।
এটা কি শুধুই একটা সাধারণ আলাপ?
নাকি, কোনো অজানা অনুভূতির শুরু?
রূপসা দীপের কথার উত্তর দিল না, শুধু হাসল।
কিন্তু ওর মনে একটা প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছিল— “আমি কি সত্যিই ভালো আছি?”
সৌরভের সঙ্গে কথাবার্তা এখন শুধুই দায়িত্বের মতো হয়ে গেছে। ‘কেমন আছো?’, ‘খাবার খেয়েছো?’—এই প্রশ্নগুলোই যেন ভালোবাসার শেষ চিহ্ন।
দীপের কথা শুনে যেন নিজের একাকীত্বটাই আরও স্পষ্ট হয়ে গেল।
সেদিন রাতে রূপসা ফোন করল সৌরভকে।
— “কী করছিলে?”
— “অফিসের কাজ। খুব চাপ যাচ্ছে রূপসা, তোমার সঙ্গে তেমন কথা বলা হয় না বলে খারাপ লাগছে, কিন্তু কিছু করার নেই।”
— “আমরা কি বদলে গেছি, সৌরভ?”
ওপাশে কিছুক্ষণ নীরবতা। তারপর সৌরভ বলল,
— “না তো, সম্পর্ক কি এত সহজে বদলায়?”
রূপসা জানে, সম্পর্ক সহজে বদলায় না। কিন্তু সময়ের সঙ্গে ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে যায়, রঙ হারিয়ে যায়…
পরদিন বিকেলে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে ছিল রূপসা। দীপ পাশের ব্যালকনিতে কফি হাতে দাঁড়িয়ে ছিল।
— “আজও চুপচাপ?”
রূপসা একটু হাসল, “হয়তো কিছু বিষয় মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে সময় লাগে।”
দীপ মৃদু হেসে বলল, “সঠিক সময় আসলে সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়। ততদিন অপেক্ষা করতে পারবে?”
রূপসা জানে না। সত্যিই কি ও অপেক্ষা করতে পারবে?
নাকি, কোনো নতুন অনুভূতির হাতছানি ওকে ভেতর থেকে বদলে দিচ্ছে?
রূপসা ভেতরে ভেতরে অদ্ভুত এক টান অনুভব করছিল। দীপের কথা, ওর উপস্থিতি, এমনকি ওর বলা ছোট ছোট কথাগুলো যেন মনে দাগ কেটে যাচ্ছিল।
সৌরভ দূরে চলে যাওয়ার পর রূপসা বুঝতে পারছিল, সম্পর্কের ফাঁকা জায়গাগুলো সময়ের সঙ্গে আরও প্রকট হয়ে উঠছে।
সেদিন রাতে রূপসা অনেকক্ষণ ছাদে হাঁটছিল। হঠাৎ পেছন থেকে পরিচিত কণ্ঠ—
— “একা একা হাঁটছো?”
রূপসা চমকে তাকাল। দীপ।
— “হ্যাঁ, মাঝে মাঝে নিজের সঙ্গে একটু সময় কাটানো দরকার, তাই না?”
দীপ মৃদু হাসল, “তবে যদি পাশে কেউ থাকে, তাহলে সেই সময়টা হয়তো আরও সুন্দর হয়ে যায়।”
রূপসার বুকের মধ্যে কেমন যেন একটা ঝড় বয়ে গেল।
ও কি এমন কিছু অনুভব করছে, যা করা উচিত না?
নাকি, এটা শুধুই একাকীত্বের কারণে হওয়া এক ধরনের অনুভূতি?
নিজের ভেতরকার প্রশ্নগুলোর উত্তর ও নিজেই জানে না…
রূপসা দীপের কথার কোনো জবাব দিল না, শুধু আকাশের দিকে তাকিয়ে রইল।
দীপ ধীরে ধীরে বলল, “একাকীত্ব মানুষকে অনেক কিছু বোঝায়, তাই না?”
রূপসা এক মুহূর্ত চুপ থেকে বলল, “একাকীত্ব না থাকলে, হয়তো কেউ বুঝতেই পারত না সম্পর্কগুলো কতটা মূল্যবান।”
দীপ মৃদু হেসে বলল, “কিন্তু কোনো সম্পর্ক যদি কেবল অভ্যাস হয়ে যায়, তখন?”
প্রশ্নটা রূপসার মনে তোলপাড় ফেলে দিল।
সৌরভ কি এখন শুধুই ওর অভ্যাস?
ওরা কি আসলেই আগের মতো একে অপরের প্রয়োজন অনুভব করে?
রূপসা দীপের দিকে তাকাল। দীপের চোখের গভীরে কী যেন একটা ছিল—একটা অদ্ভুত টান, যা রূপসাকে আরও বিভ্রান্ত করে দিচ্ছিল।
— “তুমি কি কোনো উত্তর খুঁজছো, রূপসা?” দীপ ধীর কণ্ঠে বলল।
রূপসা জানে না, ও উত্তর খুঁজছে, নাকি উত্তর এড়িয়ে যেতে চাইছে।
কিন্তু সত্যি কি সবকিছু এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব?
রূপসা ভেতরে ভেতরে অনুভব করছিল, কিছু একটা বদলাচ্ছে।
সৌরভের ফোন আসা এখন আরও কমে গেছে। মাঝে মাঝে টেক্সট করলেও সেগুলো যেন শুধুই সৌজন্যমূলক কথা—
“কেমন আছো?”
“আজ কী করেছো?”
এসবের মাঝে কোনো উষ্ণতা নেই, নেই কোনো গভীরতা।
এদিকে দীপ…
ওর সঙ্গে কথা বললে মনে হয়, কেউ সত্যিই রূপসার অনুভূতিগুলো বোঝার চেষ্টা করছে।
সেদিন সন্ধ্যায় দীপ জিজ্ঞেস করল, “আজ একটু হাঁটবে? কফি খেতে যাব?”
রূপসা একটু ভেবে বলল, “ঠিক আছে।”
কফিশপে বসে দু’জনের কথার মাঝে কখন যে সময় কেটে গেল, টেরই পেল না রূপসা।
দীপ হেসে বলল, “তুমি হাসলে খুব সুন্দর লাগে।”
রূপসা চমকে তাকাল। সৌরভ বহুদিন ওকে এমন কিছু বলেনি।
ওর বুকের মধ্যে হালকা একটা কাঁপন উঠল।
এটা কি শুধুই বন্ধুত্ব?
নাকি, কোনো নতুন অনুভূতির শুরু?
রূপসা সেই কথাটার মানে ঠিক বুঝে উঠতে পারল না। দীপের বলা কথাগুলো যেন একধরনের স্নিগ্ধতা, যা অনেকদিন পর অনুভব করল সে।
“তুমি হাসলে খুব সুন্দর লাগে।”
ও শব্দগুলো রূপসার কানে কেমন যেন একটা মৃদু সুর হয়ে বেজে উঠেছিল। দীপের চোখে ছিল একটা অদ্ভুত মায়া, যে মায়া কখনো অচেনা লাগছিল।
কফিশপ থেকে বের হয়ে তারা কিছুক্ষণ হাঁটল। আকাশে তখন চাঁদ উঠেছে, বাতাসে একধরনের স্নিগ্ধতা ছিল।
রূপসা জানে, এটা কিছু না কিছু। এটা শুধু বন্ধুদের মতো নয়, একটা অচেনা অনুভূতি।
— “কখনও ভাবো, যদি সব কিছু অন্যভাবে হতে পারত?” দীপ হঠাৎ প্রশ্ন করল।
রূপসা থমকে দাঁড়িয়ে বলল, “অর্থাৎ?”
— “যদি তোমার জীবন এমনভাবে বাঁধা না থাকত, যদি তুমি তোমার ইচ্ছে মতো জীবন বেছে নিতে পারতে?”
রূপসা কিছুক্ষণ চুপ থাকল। সত্যিই, যদি এমনটা হতে পারত? যদি সে নিজের ইচ্ছেতেই এগিয়ে যেতে পারত?
কিন্তু তখন মনে হলো, এটা তো অসম্ভব। সে তো সৌরভের স্ত্রী, তার সংসার, তার প্রতিশ্রুতি।
তবে এই অচেনা অনুভূতির প্রশ্নটা কি সত্যিই এড়িয়ে যাওয়া যায়?
রূপসা দীপের প্রশ্নের উত্তরে কিছু বলতে পারল না। মনের মধ্যে যেন একটা অদ্ভুত ধোঁয়া জমে উঠেছিল।
সে যদি সত্যি সত্যি নিজের জীবন নতুনভাবে শুরু করতে চায়, তাহলে সৌরভের প্রতি তার দায়িত্ব কী হবে? সৌরভ কি একে একে হারিয়ে যাবে?
কিন্তু দীপের চোখের ভিতর যে অসীম দৃঢ়তা, যে কৌতূহল, তা থেকে মুক্তি পেতে, রূপসাকে তার নিজের মনের গহীনে এক গভীর অনুসন্ধান চালাতে হবে।
ওদের হাঁটতে হাঁটতে দীপ আবার বলল, “জীবন মানে তো শুধু নিজের নয়, অন্যেরও। কিন্তু কখনো কখনো নিজেকে প্রথমে বুঝতে হবে, তারপরে অন্যকে।”
রূপসা কষ্টের সুরে বলল, “কিন্তু আমি জানি না, কীভাবে এই দুই জীবন একসাথে চলবে।”
দীপ এক মুহূর্ত চুপ থেকে বলল, “তবে তোমার মনের মাঝে যদি কোনো প্রশ্ন থাকে, সেটা যদি তুমি পাশ কাটিয়ে যাও, তাহলে কখনোই উত্তরটা পাবে না।”
রূপসা কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল, “আমি জানি না দীপ, সত্যি আমি জানি না।”
কিন্তু দীপের কথাগুলো যেন তার মনের গহীনে চুপিসারে একটা নতুন আলো জ্বালিয়ে দিল।
এটা কি তবে সেই মুহূর্ত, যখন রূপসার জীবন বদলানোর পথে এক নতুন দিক নির্দেশ পাবে?
রূপসা দীপের কথাগুলো শোনার পর মনে মনে অস্থির হয়ে উঠল। দীপ ঠিকই বলেছিল, “নিজেকে বুঝতে পারলে অন্যদেরও বুঝতে পারবে।”
কিন্তু সে কি নিজের সম্পর্কে এত দিন কিছু জানত?
একসময় রূপসা নিজের সীমানা জানত—অফিস, সংসার, বন্ধুবান্ধব, আর সৌরভের সঙ্গে খুনসুটির মতো সম্পর্ক। সবকিছু ঠিক ছিল, সবকিছু নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু এখন?
এখন মনে হচ্ছে, সে একটা দ্বন্দ্বে পড়েছে। সংসার আর স্বাধীনতার মধ্যে যেন একটা দেয়াল উঠে গেছে, যা ভাঙতে চাচ্ছে।
সেদিন সন্ধ্যায় সৌরভের ফোন এল।
— “কী করছো, রূপসা?”
— “কিছু না, ভাবছিলাম…”
— “ভাবো না। শুধু আমার জন্য অপেক্ষা করো, জানো তো, আমি ফিরে আসছি।”
রূপসা একটু চুপ করে থাকল। সত্যি, সৌরভ কি আসবে? সে যদি ফিরে আসে, তবে তার কি হবে? তার নিজের জীবন, তার স্বাধীনতা, তার অনুভূতিগুলো?
ঠিক তখনই দীপের কথা মনে পড়ল। “যখন তুমি নিজেকে পুরোপুরি চিনতে পারবে, তখন অন্য কারো উপস্থিতি তোমার মধ্যে কোনো শূন্যতা তৈরি করবে না।”
রূপসার বুকের মধ্যে একটা ধাক্কা অনুভূত হলো। এটা কি মানে, সে কিছু ভুল করছে?
রূপসা এবার বুঝতে পারল, সে যদি সত্যিই নিজের জীবনের জন্য নতুন কিছু চায়, তবে সৌরভের সিদ্ধান্তের সঙ্গে এই দ্বন্দ্ব থাকবে।
এবং, দীপও কি সত্যিই তার জীবনকে বদলে দিতে চায়?
এটা কি মুক্তির প্রক্রিয়া, নাকি এক নতুন ভ্রমণ?
রূপসা দীপের কথা মনে করে কিছুক্ষণের জন্য থেমে গেল। এখন আর কোনো কিছু নির্দিষ্ট নয়, সবই একটা ধোঁয়াশা। জীবনটা কেমন যেন অস্থির হয়ে উঠেছে।
সৌরভের সঙ্গে তার সম্পর্কটা কী? কোনো আগের মতো নেই। হয়তো দুজনেই সেই আগের সম্পর্কটিকে শুধু ধরে রেখেছে, যেন একটা অভ্যাসের অংশ। কিন্তু দীপ?
দীপের উপস্থিতি তাকে নতুন এক অনুভূতি দিয়ে যাচ্ছে—একটা অজানা পথের দিকে টানছে।
রূপসা জানে, যদি সে দীপকে আরও কাছ থেকে বুঝতে চায়, যদি সত্যিই নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নিতে চায়, তবে সৌরভের জন্য নিজেকে আরও অপেক্ষায় রাখার কোনো মানে নেই।
তবে দীপও কি সত্যিই তার জীবনকে বদলাতে চায়? তার গভীর মনোভাব কি শুধুই বন্ধুত্বের জন্য? অথবা কিছু বেশি?
পরের দিন রূপসা দীপকে ফোন করল।
— “কেমন আছো?” দীপের কণ্ঠে সেই অদ্ভুত মায়া ছিল।
— “ভালো আছি, তবে তুমি কি আমাকে আরেকটা প্রশ্ন করতে চাও?”
— “তুমি কি কখনও ভেবেছো, জীবনটা ঠিক কীভাবে আমরা বাঁচতে চাই?”
রূপসা কিছুক্ষণ চুপ করে থাকল। দীপের প্রশ্নে একটা স্নিগ্ধ অনুভূতির স্রোত প্রবাহিত হচ্ছিল।
— “হ্যাঁ, কখনও কখনও। কিন্তু তুমি কি সত্যিই মনে কর, আমি জানি?”
— “মনে হয় না। তুমি যদি নিজের জীবন একেবারে নতুন করে শুরু করতে চাও, তাহলে কি তুমি নিজের সত্যিকারের ইচ্ছেকে অবহেলা করতে পারবে?”
রূপসা কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল, “না, আর না।”
এবার ও জানে, সে আর কোনোভাবেই পিছিয়ে যেতে পারবে না। সে তার পথ বেছে নেবে, নিজের জীবনের জন্য সিদ্ধান্ত নেবে।
এটা কি দীপের সঙ্গে নতুন সম্পর্কের শুরু? নাকি, শুধু একটা অনুভূতির আবহ?
রূপসা দীপের কথাগুলো মনে রেখে এক গভীর শ্বাস নিল। সেই মুহূর্তে ও জানল, জীবনের বড় সিদ্ধান্ত নিতে গেলে ভয় পেতে হয়, তবে সেই ভয়ই একসময় শক্তি হয়ে ওঠে।
এবং ঠিক সেই শক্তি থেকেই রূপসা বুঝতে পারল—যে জীবনে অনেক দিন ধরে আছেন, সেই জীবন যদি তাকে আর তার ইচ্ছের জায়গা না দেয়, তাহলে হয়তো নতুন কিছু শুরু করতে হবে।
রূপসা নিজেকে প্রশ্ন করল, “সৌরভের সঙ্গে একে একে বেঁচে থাকার সময়টা কি কেবল অভ্যাস ছিল? কিংবা আমি সত্যিই আর তার মধ্যে নিজের সঙ্গীকে খুঁজে পাচ্ছি?”
দীপের সাথে যখন রূপসা কথা বলছিল, তখন তার মনে হচ্ছিল—অন্য এক ধরনের সম্পর্কের জন্য তার মধ্যে একধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে, এবং দীপ সেই শূন্যতা পূরণের চেষ্টা করছে।
পরদিন রূপসা সৌরভের সঙ্গে ফোনে কথা বলল।
— “সৌরভ, তোমার সাথে কথা বলার সময়টা আসলেই ছোট হয়ে গেছে। তুমি কখন ফিরে আসবে?”
— “কিছু দিনের মধ্যেই। তুমি কি ঠিক আছো?”
— “তুমি ফিরে আসলে সব আগের মতো হয়ে যাবে কি?”
সৌরভ এক মুহূর্ত চুপ করল।
— “তুমি কি এটা চাও?”
রূপসা জানে, তার উত্তর আসলে বেশ সরল, কিন্তু ভেতরের প্রশ্নগুলো তাকে বারবার ঘুরে ফিরে আসছে।
এটা কি শুধু কিছু দিনের অপেক্ষা? নাকি এটা কোনো নতুন পথে পা রাখার সময়?
রূপসা নিজেকে বুঝিয়ে দিল, সে আর ভয় পাবে না।
এটা তার নিজের জীবন, আর তার সিদ্ধান্তই শেষ কথা।
কিন্তু দীপকে নিয়ে তার মনের মধ্যে যে প্রশ্নগুলো জন্ম নিচ্ছে, সেগুলো কী সত্যি উত্তর পাবে?
(শেষ) 😏🔥