নীরব রাত্রির আঁধারে যখন শহরের আলো ম্লান হয়ে আসে, তখনই জেগে ওঠে রুদ্রর মন। সে বসে থাকে তার জানালার পাশে, শহরের দূরতম কোনো আলোর দিকে তাকিয়ে। তার জীবনের আলো ছিল একটাই—নন্দিনী।
নন্দিনীর হাসিতে ছিল এক অদ্ভুত জাদু, যা রুদ্রকে আলোতে রাখত। অথচ, তাদের সম্পর্কের মাঝে সব সময়ই একটা অদৃশ্য অন্ধকার লুকিয়ে ছিল।
তারা ভালোবেসেছিল পাগলের মতো। রুদ্রর রাগী স্বভাব আর নন্দিনীর নরম মিষ্টি স্বভাব একসাথে মিশে গিয়েছিল এক অদ্ভুত জাদুর মতো। কিন্তু ভালোবাসার গল্পগুলো সবসময়ই সুখের হয় না।
এক অন্ধকার রাতে, এক ভয়ংকর ঘটনার পর, নন্দিনী আর রুদ্রর জীবন একেবারে বদলে যায়। নন্দিনী হারিয়ে যায় শহরের কোলাহলের মধ্যে। রুদ্র খুঁজেছে, চিৎকার করেছে, পাগলের মতো ঘুরেছে কিন্তু নন্দিনী আর ফেরেনি।
তারপর কেটে গেছে বছর পাঁচেক।
একদিন হঠাৎই, সেই পুরোনো কফিশপের কোণে বসে থাকা এক চেনা মুখ—নন্দিনী। চোখে পুরোনো সেই গভীরতা, কিন্তু মুখে এক অজানা শূন্যতা।
“রুদ্র?”
রুদ্র থমকে যায়।
“তুমি কি এখনো আমাকে খুঁজছ?” নন্দিনীর কণ্ঠে ছিল এক অদ্ভুত বিষণ্ণতা।
রুদ্র শুধু একবার তাকায় তার চোখের দিকে। আর বুঝতে পারে, নন্দিনী তার থেকেও বেশি হারিয়ে গেছে।
ভালোবাসার গল্পগুলো সবসময় পরিপূর্ণ হয় না। কিছু কিছু গল্প চিরকাল অসম্পূর্ণই থেকে যায়—একটা অন্ধকার ভালোবাসার মতো, যেখানে আলো কখনো পৌঁছায় না…
💔 সমাপ্ত।