Harmful aspect of hand-meitus

হস্ত মৈথুনের কত দিন পর করা উচিত – হস্ত মৈথুনের ক্ষতিকর দিক

এই আর্টিকেল-এ আমরা জানবো হস্ত মৈথুনের কত দিন পর করা উচিত এবং হস্ত মৈথুনের ক্ষতিকর দিক। আসলে হস্ত মৈথুনের কত দিন পর করা উচিত তার কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। তবে দিনে একবার হস্ত মৈথুন করলে স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো বলে মনে করা হয়। কিন্তু যদি অতিরিক্ত পরিমাণে হস্ত মৈথুন করা হয়, তাহলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত হস্তমৈথুন দৈনন্দিন জীবনে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।

Table of Contents

হস্ত মৈথুনের কত দিন পর করা উচিত

হস্ত মৈথুনের ক্ষতিকর দিক

হস্ত মৈথুনের কত দিন পর করা উচিত বা কত দিন পর পর বীর্য ফেলা উচিত তার সম্পর্কে অনেকেরই সঠিক ধারণা নেই। আসলে হস্ত মৈথুন এবং বীর্যপাত হল মানব শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অবিবাহিত পুরুষ ও মহিলারা এই ধরণের কার্যকলাপ করে থাকেন। কেউ কেউ আবার এই প্রক্রিয়াতে আসক্ত হয়ে ঘন ঘন হস্ত মৈথুন করতে থাকেন, যা স্বভাবত একটি মানসিক রোগে পরিণত হয়। প্রায় ৮০শতাংশ মানুষই আজ এই মানসিক রোগে আক্রান্ত। প্রতিটি মানুষকেই হস্ত মৈথুন সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা উচিত, সেই সাথে কত দিন পর পর বীর্য ফেলা উচিত অর্থাৎ কত দিন পর পর বীর্য ফেললে শারীরিক ও মানসিক কোনো ক্ষতি হবে না তারও জ্ঞান থাকা দরকার।

বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ বা মহিলার ২-৩ দিন পরে পরে শারীরিক চাহিদা মেটাতে ১বার করে হস্ত মৈথুন করা উচিত। তবে শারীরিক ও মানসিক চাহিদার উপর ভিত্তি করে প্রতিদিন ১বার হস্ত মৈথুন করা যেতে পারে। কিন্তু এর থেকে বেশি পরিমানে করলে বা ঘন ঘন বীর্যপাতে আসক্ত হলে তা একটি মানসিক রোগে পরিণত হয়, যা একটি মানুষের দৈনন্দিন জীবনে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। 

নিয়মিত একটি নির্দিষ্ট সময়ের ব্যাবধানে হস্ত মৈথুন করলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। যেহেতু হস্ত মৈথুনের ফলে আমাদের শরীর থেকে প্রোটিন সহ আরোও উপকারী হরমোন বাইরে বেরিয়ে আসে তাই কাম-এ আসক্ত হয়ে অতিরিক্ত হস্ত মৈথুন স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। অতিরিক্ত মাস্টারবেশন করলে কি হয় অর্থাৎ হস্ত মৈথুনের ক্ষতিকর দিক গুলি বিশদে আলোচনা করা হল:

অতিরিক্ত মাস্টারবেশন করলে কি হয়

a man in pajamas sitting on a bed - disadvantages of masturbation
  • শীঘ্র পতন: গবেষণায় দেখা গেছে যে, অতিরিক্ত হস্ত মৈথুনের ফলে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করা ও বীর্য ধরে রাখা প্রায় অসম্ভব হয়ে পরে। ফলে মিলনের সময় উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং বীর্য ধরে রাখতে অসমর্থ হয়।
  • যৌন জীবনে অশান্তি: শীঘ্র পতনের সাথে সাথে বীর্য পাতলা হয়ে যাওয়া, লিঙ্গ শক্ত না হাওয়া এবং যৌন মিলনে অনিচ্ছা দেখা দিতে পারে। এর ফলে যৌন সঙ্গীর সাথে মতো বিরোধ ও অশান্তি হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়।
  • সন্তান হীনতা: অতিরিক্ত বীর্য ক্ষরণের ফলে শুক্রাণুর গুণগত মান কমতে থাকে ও সেই সাথে শুক্রাণুর পরিমানও কমতে থাকে। যেখানে একটি সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য প্রায় ২০কোটি শুক্রাণু প্রয়োজন সেখানে ঘাটতি দেখা যায়, ফলে সন্তান জন্ম দিতে ব্যর্থ হয়।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া: অতিরিক্ত হস্ত মৈথুনের ফলে প্রয়োজনীয় হরমোন, প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম শরীর থেকে অধিক পরিমানে নির্গত হয়। ফলে শরীরে ইমিউনিটি পাওয়ার কমে যায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। সর্বোপরি বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি শরীরে বাসা বাঁধতে পারে।
  • ওজন কমে যাওয়া: খুব বেশি হস্ত মৈথুন করলে হজম শক্তি হ্রাস পায়, ফলে খাওয়ার ইচ্ছা এবং ক্ষুদা দুটোই কমে যায়। ফল স্বরূপ, পুষ্টির ঘাটতি দেখা যায় এবং শরীরের ওজন কমে যায়।
  • অন্তরঙ্গে জ্বালা ও ব্যাথা: অতিরিক্ত হস্ত মৈথুনে যোনি ও লিঙ্গে প্রবল ঘর্ষণের সৃষ্টি হয়। যার ফলে অন্তরঙ্গে সব সময় প্রবল জ্বালা ও ব্যাথা অনুভব হয়।
  • দৃষ্টি শক্ত কমে যাওয়া: লক্ষ্য করে দেখবেন, হস্ত মৈথুন এবং বীর্যপাতের পর চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে আসে এবং চোখ বন্ধ হয়ে আসে। হস্ত মৈথুনের ফলে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় উপাদান বাইরে বেরিয়ে আসে, তাই খুব বেশি হস্ত মৈথুনের ফলে দৃষ্টি শক্তি কমে যেতে পারে এমনকি দৃষ্টি শক্তি হারাতেও পারে।  
  • মানসিক অস্থিরতা: অতিরিক্ত হস্ত মৈথুন করলে শরীর দুর্বল লাগে, মানসিক ক্লান্তি অনুভব হয় এবং মেজাজ খিট-খিটে হয়ে থাকে। ফলে কোনো কাজই মনোযোগ দিয়ে করা যায় না।
  • শারীরিক দুর্বলতা: অত্যধিক হস্ত মৈথুন করলে শরীর দুর্বল লাগে, গা মেজ-মেজ করে, শরীরের উত্তেজনা কমে যায়। ফলে দৈনন্দিন কাজে ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটে।  এমনকি লিঙ্গের শক্তি পর্যন্ত হারিয়ে যেতে পারে।

হস্ত মৈথুনের উপকারিতা কি

হস্ত মৈথুনে যেমন একাধিক ক্ষতিকর দিক রয়েছে, তেমন নির্দিষ্ট পরিমানে হস্ত মৈথুন করলে একাধিক উপকারিতাও রয়েছে। হস্ত মৈথুনের ফলে শরীরের উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে থাকে, উদ্বেগ এবং দুশ্চিন্তা কমিয়ে আনে, অত্যধিক শুক্রাণুর কারণে অসুস্থতা হ্রাস পায়, অনিদ্রা জনিত রোগ দূর করে।

হস্ত মৈথুনের উপকারিতা কি তা নিয়ে বিশদে আলোচনা করা যাক:

a satisfaing woman lying on a bed after masturbation
  • উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে: যৌবন কালে মানুষের যে শারীরিক চাহিদা বা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়, হস্ত মৈথুনের ফলে তা নিয়ন্ত্রণে থাকে। যৌন সঙ্গীর অভাবে শারীরিক চাহিদা নিয়ন্ত্রণ করতে হস্ত মৈথুনই হল এক মাত্র উপায়।
  • মানসিক তৃপ্তি: হস্ত মৈথুনের ফলে এন্ডোর্ফিন নামক এক ধরণের হরমোন নিঃসরণ হয় এবং শরীরের রক্ত চলাচল বাড়ায়, ফলে মানসিক তৃপ্তি মেলে, যা আবেগজাত পীড়ন, মানসিক বিষণ্ণতা ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে
  • যৌন তৃপ্তি: হস্ত মৈথুনের ফলে শরীর থেকে অর্গ্যাজম এবং বীর্যপাত হয়, যা শরীরে যৌন তৃপ্তি প্রদান করে। ফলে যৌন সঙ্গী ছাড়াই যৌন তৃপ্তি মেলে।
  • অনিদ্রা প্রতিরোধ: বিশেষজ্ঞদের মতে, বীর্যপাতের সময় শরীর থেকে অক্সিটোসিন এবং প্রোল্যাক্টিন নামক দুটি হরমোন নিঃসৃত হয়। এই দুই হরমোন নিঃসরণের ফলে শরীরে শিথিলতা দেখা যায় এবং ঘুম পায়। ফলে অনিদ্রা জনিত রোগ প্রতিরোধ হয়।
  • ক্যান্সার প্রতিরোধ: হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা মতে, যারা সপ্তাহে ২১ বারের বেশি হস্তমৈথুন করেন, তাঁদের প্রস্টেট ক্যানসারের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৩৩ শতাংশ কমে যায়।
  • সুস্থ হার্ট: হস্তমৈথুন, শ্বাস-প্রশ্বাস এবং হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে তুলে হার্টকে আরও সচল করে তোলে। এই বর্ধিত হৃদস্পন্দন হার্টকে একটু ব্যায়াম করতে বাধ্য করে, ফলে শ্বাসকষ্ট ও হৃদ জনিত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে।

হস্ত মৈথুন থেকে বাচার উপায়

হস্ত মৈথুন এমন একটি শারীরিক প্রক্রিয়া যা একবার অভ্যাস হয়ে গেলে তা কার্যত মানসিক রোগ তথা নেশায় পরিণত হয়, যার থেকে রেহাই পাওয়া একেবারেই অসম্ভব হয়ে পরে। শুধু তাই নয় এই অভ্যেস যৌন জীবনকে বিপর্যস্ত করে তোলে। তবে এমন কিছু হস্ত মৈথুন থেকে বাচার উপায় আছে যা নিষ্ঠা এবং অধ্যাবসায়ের সাথে মেনে চললে এই মানসিক নেশা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

  • একা থাকা যাবে না: সমীক্ষায় দেখা গেছে, যখন মানুষ একা অবসর সময় কাটায় তখনি তার মাথায় হস্ত মৌথুনের কোথায় মাথায় আসে এবং ঘন ঘন হস্ত মৈথুন করে। হস্ত মৈথুনের একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হল এক থাকা, তাই চেষ্টা করতে হবে নিজেকে একা না রাখা এবং অবসর সময়ে নিজেকে বিভিন্ন কাজে ব্যাস্ত রাখা। এই ভাবে হস্ত মৈথুনের মতো মানসিক রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।
  • পর্ন ওয়েবসাইট থেকে দূরে থাকতে হবে: যেসব কারণে হস্ত মৈথুনের ইচ্ছা জাগে তার মধ্যে প্রথম ও প্রধান কারণ হলো পর্ন ওয়েবসাইট। পর্ন ভিডিও দেখার ফলেই হস্ত মৈথুনের ইচ্ছা প্রকাশ পায়। তাই হস্ত মৈথুন থেকে বাঁচতে হলে পর্ন ওয়েবসাইট থেকে দূরে থাকতে হবে। যে সময় পর্ন ভিডিও দেখার ইচ্ছা হয় সেসময়ে অন্য কোনো সিনেমা বা ওয়েব সিরিজ দেখে সময় কাটানোর চেষ্টা করুন।
  • দাম্পত্য জীবন যাপন করতে হবে: বিবাহ যোগ্য বয়স হলে, বিবাহ করে দাম্পত্য জীবন যাপন পালন করুন। এটি হস্ত মৈথুন থেকে বাঁচার একটি স্থায়ী সমাধান। তাহলে যেমন হস্ত মৈথুনের মতো মানসিক ব্যাধি থেকে মুক্ত হাওয়া যাবে, তেমন বিবাহের পর জীবন আরও সচ্ছল ও আনন্দময় হয়ে উঠবে, যা আপনার দৈনন্দিন জীবনকে আরও মধুর করে তুলবে।
  • ধ্যান এবং যোগাসন বা ব্যায়াম করতে হবে: ধ্যান মানুষকে দৃঢ়, সহিষ্ণু এবং ধৈয্যশীল করে তোলে। এবং যোগাসন ও ব্যায়াম শরীরকে ফিট ও সচল করে তোলে। শরীর ও মন যখন একসাথে সাচ্ছন্দে থাকে তখন হস্ত মৈথুনের মতো কাজ মাথাতেই আসেনা। তাই এই অভ্যেস থেকে নিজেকে দূরে রাখতে, প্রতিদিন ধ্যান, যোগাসন, ব্যায়াম এর মতো অনুশীলনে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হবে।

হস্ত মৈথুনের পর কি খেতে হবে

যেহেতু হস্ত মৈথুনের ফলে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় উপাদান ও পুষ্টিগুণ বাইরে বেরিয়ে যায়, তাই হস্ত মৈথুনের পর প্রয়োজনীয় ও পুষ্টিগুণ সম্পন্য খাবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূন্য। যারা হস্তমৈথুনে অভ্যস্ত বা নিয়মিত হস্তমৈথুন করে থাকেন, তাদের অবশ্যই জেনে রাখতে হবে হস্ত মৈথুনের পর কি খেতে হবে। এবং শারীরিক গঠন ও সৌন্দর্য ধরে রাখতে হলে সেই সমস্ত খাবার নিয়মিত গ্রহণ করা উচিত, বিশেষ করে হস্তমৈথুনের পর।

এখন দেখে নেওয়া যাক হস্ত মৈথুনের পর কি খেতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার সাথে সাথে আর কি করণীয় তাও জানবো:

  • পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করতে হবে: হস্ত মৈথুন যেহেতু শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে বিঘ্নিত করে তাই শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখতে প্রতিদিন, বিশেষ করে হস্ত মৈথুনের পর ৪-৫লিটার জল পান করা অত্যন্ত জরুরি।
  • ভিটামিন ও প্রোটিন জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করতে হবে: যেহেতু হস্ত মৈথুনের ফলে ভিটামিন ও প্রোটিন নিঃসরণ হয় তাই হস্তমৈথুনের পর প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ও প্রোটিন জাতীয় খাদ্য, যেমন ডিম, দুধ, ফল-মূল, শাখ-সবজি, মাছ-মাংস ইত্যাদি খাওয়া শরীরের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূন্য।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে: পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি, নিয়মিত ব্যায়াম বা যোগাসন করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীর ও মন উভয়ই সুস্থ্য থাকে, ফলে হস্ত মৈথুনের কারণে হাওয়া ক্ষতির সম্ভাবনা কমে যায়।

এইগুলি অনুসরণ করলে, হস্তমৈথুনের ফলে তৈরী হাওয়া সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এইগুলি অনুসরণের পরও যদি শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতা না কমে এবং যদি দৈনন্দিন জীবনের উপর প্রভাব পরে, তাহলে লজ্জা না পেয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

প্রতিদিন বীর্য ফেললে কি হয়

এই বিস্তারিত আলোচনার পর, প্রতিদিন বীর্য ফেললে কি হয় অথবা প্রতিদিন হ্যান্ডেল মারলে কি হয় তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। তবুও আরো একবার হস্ত মৌথুনের ভালো ও মন্দ দিকগুলি আলোচনা করা হল।

প্রতিদিন বীর্য ফেললে  বা প্রতিদিন বীর্যপাত করলে:

  • শীঘ্র পতনের মতো রোগে আক্রান্ত হয়।
  • বীর্য পাতলা হয় ও বীর্যের গুণমান হারিয়ে যায়।
  • মিলনের সময় সমস্যা দেখা দেয়।
  • প্রজননের সময় সমস্যার সৃষ্টি হয়।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
  • লিঙ্গ বা যোনি তে জ্বালা ও ব্যাথা অনুভব হয়।
  • দৃষ্টি শক্তি কমে যায়।
  • মানসিক অস্থিরতা দেখা যায়।
  • শরীর দুর্বল হয়ে যায়।
  • শারীরিক গঠন ভেঙে পরে।
  • সৌন্দর্য নষ্ট হয়।
  • চুল পরে যায়।
  • দৈনন্দিন কাজে বেখ্যাত ঘটে।
  • যৌন উত্তেজনা হ্রাস পায়।
  • দাম্পত্য জীবনে অশান্তি ডেকে আনে।

মাস্টারবেশন করার নিয়ম

মাস্টারবেশন বা হস্ত মৈথুন এমন এক প্রক্রিয়া, যেখানে নিজেই নিজের যৌনাঙ্গকে উত্তেজিত করে যৌন তৃপ্তি লাভ করা যায়। যদিও নারী পুরুষ নির্বিশেষে যার যার নিজের যৌন চাহিদার উপর ভিত্তি করে নিজেরাই মাস্টারবেশন করতে শিখে যায়, তবুও নতুনদের জন্য ও যারা এখনও চিন্তিত যে তাদের মাস্টারবেশনের প্রক্রিয়া আদৌও সঠিক কিনা তাদের জন্য মাস্টারবেশন করার নিয়ম বিশদে আলোচনা করা হলো।
আরও একটা কথা বলে রাখা দরকার, উত্তেজনার বশে এমন ভাবে মাস্টারবেশন করা কখনোই উচিত নয় যাতে যৌনাঙ্গের ক্ষতি হয়। তাই ছেলে এবং মেয়ে উভয়কেই সঠিক ভাবে মাস্টারবেশন করার নিয়ম জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি।

ছেলেদের মাস্টারবেশন করার নিয়ম

ছেলেদের হস্তমৈথুনের প্রধান প্রক্রিয়াটি হল পেনিসের অগ্রভাগে ও মধ্যভাগে আলগাভাবে হাত দিয়ে মুঠো করে ধরে বারবার মুঠো উপর-নিচ করলে লিঙ্গের আগ্রোভাগে থাকা চামড়ার আবরণ টি একবার উন্মুক্ত হয় আবার ঢেকে যায়। এই ভাবে বারবার লিঙ্গের অগ্রভাগ উন্মুক্ত ও ঢেকে যাওয়ার ফলে লিঙ্গ-মুন্ডের সাথে চামড়ার আবরণটি বারংবার ঘষা লাগে, এর ফলে ছেলেরা যৌনাঙ্গে আনন্দ উপভোগ করে বা যৌন তৃপ্তি পায়। যৌন তৃপ্তি যখন চরমে উঠে তখন বীর্যস্খলন বা বীর্যপাত হয়।
অন্যদিকে, যাদের লিঙ্গের উপরের আবরণ বা ফোরস্কিন কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে হাতের মুঠো উপর-নিচ করার সময় হাতের তালুর সাথে লিঙ্গমুন্ডের ঘর্ষনের ফলে লিঙ্গ উত্তেজিত হয় এবং বীর্যপাত হয়।
অনেকে আবার হাতের মুঠোর বদলে বুড়ো আঙ্গুল ও তর্জনী দিয়েও হস্ত মৈথুন করে থাকে। আবার বিছানায় উপুর হয়ে শুয়ে বালিশ বা তোষকের সাথে লিঙ্গ ঘষে বীর্যপাত করাকেও হস্ত মৈথুন বলা যেতে পারে।

তবে হস্তমৈথুন করার সময় অবশ্যই কিছু সাবধানতা বজায় রাখতে হবে, যাতে লিঙ্গের কোনো ক্ষতি না হয়। এখন জেনে নেওয়া যাক কি কি সাবধানতা বজায় রাখতে হবে এবং ছেলেদের মাস্টারবেশন করার নিয়ম।

  • যেহেতু ছেলেদের হস্তমৈথুনের সময় লিঙ্গের উপরিভাগে প্রচুর পরিমানে ঘর্ষণ হয়, তাই হস্তমৈথুনের সময় অবশ্যই ভেসলিন কিংবা অন্য কোন লুব্রিকেন্ট জাতীয় ক্রিম ব্যবহার করা উচিত।
  • উপুর হয়ে শুয়ে বালিশ বা তোষকের সাথে লিঙ্গ ঘষে হস্ত মৈথুন করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এর ফলে লিঙ্গের উপরি ভাগের ত্বকে স্ক্র্যাচ ও ফুসকুড়ির মতো সমস্যা দেখা যেতে পারে।
  • হস্তমৈথুনের সময় লিঙ্গে কখনোই অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করা উচিত নয়, এর ফলে, লিঙ্গে আঘাত লেগে ব্যাথা এবং লিঙ্গ-বিকৃতিও হতে পারে।
  • ঘনঘন হস্ত মৈথুন স্বাস্থ্যের কক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ বা মহিলার ২-৩ দিন পরে পরে শারীরিক চাহিদা মেটাতে ১বার করে হস্ত মৈথুন করা উচিত। তবে শারীরিক ও মানসিক চাহিদার উপর ভিত্তি করে প্রতিদিন ১বার হস্ত মৈথুন করা যেতে পারে।

মেয়েদের মাস্টারবেশন করার নিয়ম

মেয়েদের হস্তমৈথুনের প্রধান প্রক্রিয়াটি হল আঙ্গুল বা অন্য কিছুর সাহায্য নিয়ে যোনিদ্বার বা ভালভা এবং ক্লিটোরিস উত্তেজিত করে অর্গ্যাজম নির্গত করা ও যৌন তৃপ্তি উপভোগ করা। অনেকে আবার যোনির ভেতরে আঙ্গুল, ডিলডো, ভাইব্রেটর এমনকি বেগুন ঢুকিয়েও হস্ত মৈথুন করে থাকে। এর ফলে মেয়েদের শরীরে কাম উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় এবং অর্গ্যাজম হয়, যা মেয়েদেরকে যৌন তৃপ্তি দেয়।

মেয়েদের ক্ষেত্রেও ফিঙ্গারিং বা হস্ত মৈথুন করার সময় সাবধানতা বজায় রাখা আবশ্যক। সাবধানতার সাথে ফিঙারিং না করলে যোনিপথের বাইরে ও ভেতরে ক্ষত হতে পারে। এখন দেখে নেওয়া যাক মেয়েদের কি কি সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত এবং মেয়েদের মাস্টারবেশন করার নিয়ম।

  • যোনি দ্বারে অত্যাধিক ঘর্ষণের ফলে ত্বকে স্ক্র্যাচ ও ফুসকুড়ির মতো সমস্যা দেখা যেতে পারে। তাই হস্ত মৈথুনের সময় মাথায় রাখতে হবে আলতো হাতে কাজটি সম্পূর্ণ করতে হবে।
  • অনেকে আবার প্যান্ট বা কাপড়ের উপরদিয়েই হাত দিয়ে বা দুটো ঊরুর মাঝে বালিশ রেখে ঘষে ঘষে হস্ত মৈথুন করেন, এর ফলেও যৌনাঙ্গে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। 
  • অনেক মেয়েরাই উত্তেজিত হয়ে যোনির ভেতরে আঙ্গুল ও অন্যান লিঙ্গাকার বস্তু যোনির ভেতরে প্রবেশ করিয়ে আনন্দ উপগোভ করেন, এতে ইনফেকশনের ঝুঁকি রয়েছে প্রবল। তাই অস্বাস্থ্যকর কোনো কিছুই যোনিতে প্রবেশ করানো উচিত নয়।
  • এমন কিছু বস্তু যোনির ভেতরে প্রবেশ করানো উচিত নয়, যেগুলো ভেঙে যাওয়ার ভয় থাকে। যোনির ভেতরে প্রবেশ করানোর পর যদি বস্তুটি ভেঙে ভেতরে রয়ে যায়, সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের সাহায্য নিতে হতে পারে, এমনকি অস্ত্রোপচারও করতে হতে পারে।
  • হস্তমৈথুনের সময় যদিও মেয়েদের যৌনাঙ্গ থেকে একধরনের তরল পদার্থ ক্ষরিত হয় যা লুব্রিকেন্ট হিসেবে কাজ করে। যদি সেটা না হয় তাহলে ভেসলিন বা এই জাতীয় কোনো ক্রিম, লুব্রিকেন্ট হিসাবে ব্যবহার করতে হবে, প্রয়োজনে নিজের লালারসও ব্যবহার করা যেতে পারে।